শ্যামনগরে মডেল ডায়াগনষ্টিক সেন্টার সহ অবৈধ ক্লিনিক লাইসেন্স ও রেজিস্ট্রেশন বিহীন চলছে।
ডেস্ক রিপোর্ট:
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে অবৈধ ভাবে ও অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে চলছে মডেল ডায়াগনষ্টিক সেন্টার। এ মডেল ডায়াগনষ্টিক সেন্টারটি পূর্বে ছিল শ্যামনগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ভবনে। বর্তমানে শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের মেন ফটকের সামনে বৈধতা ছাড়াই ও প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রাদী ছাড়াই তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। অভিযোগ উঠেছে শ্যামনগরের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা অসহায় গরীব রোগীদের বুঝে ওঠার আগেই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ভুয়া রিপোর্ট প্রদান করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এ প্রতিষ্ঠানটি।
তথ্য সূত্রে জানা গেছে দূরদূরান্ত থেকে একজন ডায়াবেটিস, লিভার ফাংশন ও কিডনীর পরীক্ষা করতে আসা অসহায় রোগী শওকত হোসেন (৪৮) কে ভুল বুঝিয়ে প্রয়োজনীয় এ সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়ে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে সরকার কর্তৃক অনুমোদন ছাড়া রেজিঃ বিহীন এ মডেল ডায়াগনষ্টিক সেন্টারটি ভুয়া রিপোর্ট প্রদান করে এমনটা জানা গেছে।
শ্যামনগরের একাধিক সচেতন সুধী মহল বলেন, শ্যামনগরে আগাছার মত অবৈধ ক্লিনিক ,প্যাথলজি ও ডায়াগনষ্টিক রয়েছে পুরোপুরি বৈধ নয়, এরকম প্রতিষ্ঠান থেকে দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীদের হয়রানি করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
এ সম্পর্কে বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক ওনার্স এসোসিয়েশন সমিতির শ্যামনগর উপজেলা শাখার সভাপতি স.ম জিয়াউল হক পলাশ বলেন, এভাবে বৈধতা বিহীন কোন ক্লিনিক, প্যাথলজি ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের কার্যক্রম চলতে পারে না, আমরাও এর সুরহা চাই।
এ বিষয়ে শ্যামনগর সরকারি হাসপাতালের উপ.স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (T.H.O) মোঃ জিয়াউর রহমান বলেন, (১) নতুন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে –
যদি কোন ক্লিনিক, প্যাথলজি ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের লাইসেন্স না থাকে তাহলে তাদের কার্যক্রম পুরোটাই অবৈধ। রেজিঃ না পাওয়া পর্যন্ত কোনো প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম চালাতে পারবেনা।
(২) পুরানো প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে –
পুরানো যেগুলো আছে সরকারকে ফি দিয়ে রেজিঃ করতে হবে।
এ বিষয়ে শ্যামনগরের সচেতন নাগরিক সমাজ সহ সর্ব শ্রেণী পেশার মানুষ দ্রূত পদক্ষেপ নিতে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
Leave a Reply